
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির তরফে ৯ নভেম্বর, বুধবার জাতীয় আইনী পরিষেবা দিবস উপলক্ষ্যে আইনী পরিসেবা ও সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা শিবির অনুষ্ঠিত হয় বোলপুর তারাশঙ্কর বিদ্যাপীঠে। সাধারণ মানুষ কোন সমস্যায় পড়লে ১৯৮৭ সালের আইন মোতাবেক বিনামূল্যে কি ভাবে সাহায্য পেতে পারে, শিশু সুরক্ষা, মোবাইলের ব্যাবহার, সাইবার ক্রাইম, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এদিন শিবিরে অংশগ্রহণকারী বোলপুরের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ ও তারাশঙ্কর বিদ্যাপীঠের শতাধিক ছাত্রী অঙ্গীকারবদ্ধ হয় যে ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ে করব না। এই অঙ্গীকার শুধু মুখে নয়, ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির সচিব এবং বিচারকের কাছে লিখিত ও দেন। উল্লেখ্য ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্ররাও অঙ্গীকার করে যে, ২১ বছর না হলে তারাও বিয়ে করবে না এবং কোথাও কম বয়সে বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করার খবর পেলে তা বন্ধ করার ও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সকলেই সহমত পোষণ করে। বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা শুভ্রা ঘোষ বলেন, এই রকম সচেতনতা শিবিরে আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা খুব অনুপ্রানিত হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রশাসনের উদ্যোগে নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করার জন্য প্রচার করা হলেও তা সাকুল্যে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। শহর বা গ্রাম সব জায়গায় লুকিয়ে বিয়ে হয়ে যায়। শেষমেস চাইল্ড লাইন, ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি ও পুলিশ প্রশাসনকে গিয়ে তা বন্ধ করতে হয়। এদিন ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সাভিসেস অথরিটির আইনী সহায়ক মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা বারংবার প্রচার করি নাবালিকা অবস্থায় বিয়ের কুপ্রভাব নিয়ে। সেটা এক তরফা হয়, এবার নাবালিকা মেয়েরা অঙ্গীকার করলো তারা প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে যেমন বিয়ে করব না, তেমনি কম বয়সে কোথাও কারোর বিয়ে হলে তা বন্ধ করার জন্য ১০৯৮ এ ফোন করে চাইল্ড লাইনকে জানাবে। জাতীয় আইনী পরিষেবা দিবসে শতাধিক ছাত্র ছাত্রীর এহেন ভাবনা ও অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির উদ্যোগ অভাবনীয় বলে উপস্থিত সকলেই প্রশংসা করেন।
