শম্ভুনাথ সেনঃ
দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না বীরভূমের চাষিদের। বৃষ্টির অভাবে এমনিতেই এবার ভালো চাষ হয়নি বীরভূমে। বহু জমি অনাবাদি থেকে গেছে। শেষের দিকে বৃষ্টি এবং ভূগর্ভস্থ জলে যেটুকু বা চাষ হয়েছে তাতেও বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ। এখন আমনের ভরা মরশুম। ধানে পাক ধরেছে। কিন্তু বাদামী শোষক পোকা গাছের সব রস শুষে নিচ্ছে। ক্ষতির মুখে বীরভূমের কৃষকরা। জেলার ১৯টি ব্লকেই কম-বেশি দেখা দিয়েছে বাদামি শোষকের আক্রমণ। মাঠের সোনালি ধান আচমকা ধূসর হয়ে যাচ্ছে। নামী দামী কীটনাশক প্রয়োগ করেও লাভ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জেলার কৃষজীবিরা। জলের অভাবে এমনিতেই আমন চাষ দেরিতে হয়েছে। বেড়েছে উৎপাদন খরচও। তার উপর পোকার আক্রমণে চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই অবস্থায় ভরসা এখন বাংলা শস্যবীমা। জেলার সাঁইথিয়া ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাংড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের বড় সাংড়া, মালিগ্রাম, নিরিশা, ছোট সাংড়া, বনমালডিহি, পারগ্রাম এইসব এলাকা সাঁইথিয়া ব্লক সহ অধিকর্তা ড. পুষ্পিতা রায় ঘুরে দেখেন। চাষীদের সাথেও কথা বলেন তিনি, শোনেন তাদের কাছ থেকে অভাব-অভিযোগ। তিনি জানিয়েছেন, তাপমাত্রার হেরফের শোষক পোকা আক্রমণের বড় কারণ। তার উপর আমন চাষ দেরিতে হওয়ার কারণে গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য কৃষকরা জমিতে অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেছেন। সেজন্যই শোষকের আক্রমণ বাড়ছে। শোষকের আক্রমণ ঠেকাতে জমি থেকে জল বের করে দেওয়া, কীটনাশক প্রয়োগ, গাছের গোড়ায় যাতে সূর্যালোক পৌঁছায় সেজন্য ধানের পাশ ঠেলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এলাকার চাষীদের সচেতন করতে লিফলেট বিলি করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।