দীপক কুমার দাসঃ
বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত যাতে উদ্ধার কাজ শুরু করা যায় ও বিপদে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করা যায় সেই উদ্দেশ্যে যুবক যুবতীদের দেওয়া হচ্ছে আপদা মিত্র ভলেন্টিয়ার্স ট্রেনিং। প্রতি ব্যাচে ৫০জন করে মোট ৩০০জন যুবক যুবতীকে এই ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এখন মহঃ বাজারের ড্রিস্টিক্ট পঞ্চায়েত ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টারে চলছে চতুর্থ ব্যাচের ১২দিনের প্রশিক্ষণ। আজ মহঃ বাজার পঞ্চায়েতের খড়িয়া গ্রামের কালিসায়রে স্পিড বোর্ট কিভাবে চালাতে হয় এবং জলে কেউ বিপদে পড়লে কিভাবে উদ্ধারকার্য করা যায় সেটা হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় চতুর্থ ব্যাচের ৪০জন যুবক ও ১০জন যুবতীকে। এন ডি আর এফের তত্ত্বাবধানে ও জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্স সেকশন, বীরভূম এর আয়োজনে বিপর্যয় মোকাবিলার এই ট্রেনিং দেওয়া হয়। গতকাল দড়ি বেয়ে কিভাবে উপরে উঠা বা নামা যায় সেই বিষয়ে হাতেকলমে শেখানো হয়। এছাড়া সব ধরনের বিপর্যয়ে কিভাবে উদ্ধারকার্য করা যায় সেই বিষয়েও শিক্ষানবীশ ভলেন্টিয়ার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদিন স্পিড বোট হ্যান্ডলিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় খড়িয়া গ্রামের কালিসায়রে। উপস্থিত ছিলেন এনডিআরএফ-এর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের ইন্সপেক্টর প্রমোদ কুমার, ডিএমডিও আব্দুর রেজ্জাক বিশ্বাস, এসডিএমও (সদর) অরুণ মুখার্জী। এনডিআরএফের পক্ষে বিনোদ কুমার বলেন, আমাদের অনুপস্থিতিতে যাতে কোনো বিপর্যয় মোকাবিলায় উদ্ধার কাজ শুরু করা যায় সেই উদ্দেশ্যে এই যুবক যুবতীদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনিং নিতে আসা এক যুবতী কুরিয়া শীল জানান, আমরা আজ কিভাবে স্পিডবোর্ড চালাতে হয় সেই বিষয়ে জানলাম। এছাড়া বিপদে কিভাবে উদ্ধারকার্য করা যায় এই বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের ট্রেনিং পেয়ে খুব আনন্দিত।