বিলুপ্তপ্রায় শিল্পকে পরম্পরায় বাঁচিয়ে রাখার সুবাদে জাতীয় পুরস্কার পেল বীরভূমের কর্মকার পরিবার

শম্ভুনাথ সেনঃ

বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর গ্রামের এক গৃহবধু হস্তশিল্পী রুমা কর্মকার “জাতীয় পুরস্কার-২০১৭” নিয়ে বাড়ি ফিরল। গত ২৮ নভেম্বর, ২০২২ দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল তাঁর হাতে অষ্টধাতুর স্মারক, মানপত্র সহ ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। উল্লেখ্য, আগেকার দিনে ধান, চাল, দুধ, ঘি পরিমাপের পাত্র ছিল সের-পাই। আজ তার চল (ব্যবহার) নেই। কিন্তু সেই বিলুপ্ত প্রায় পাত্রগুলি শিল্প সুষমায় মুড়ে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য “SURI BOWL METAL CRAFT” এর কারুকার্যের জন্য এই মহিলা শিল্পী জেলা, রাজ্য পেরিয়ে দেশে পেল ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। বীরভূমবাসীর কাছে এ এক খুশির খবর। প্রসঙ্গত বলা যায় দেশের হস্তশিল্পীদের প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে “শিল্পগুরু” ও “জাতীয় পুরস্কার” দেয় ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রক। করোনার জেরে দু’বছর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়নি। তাই এবার ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের এই তিন বর্ষের মোট ১০৮ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শতাব্দি প্রাচীন এই সের-পাই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে ২০১৭ সালের ভিত্তিতে রুমা কর্মকার এই পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ি দুবরাজপুর ব্লকের মেটেলা গ্রামে। কিন্তু বর্তমানে স্বামী ভোলানাথ কর্মকারও এখন কর্মসূত্রে থাকেন শ্বশুরবাড়িতে। স্বামী স্ত্রী মিলে পরম্পরায় তাঁরা এই শিল্পকে এখনো ধরে রেখেছেন জীবন-জীবিকায়। তবে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেরা এই শিল্প থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে রুমাদেবী জানান। আগামী দিনে এই শিল্প বেঁচে থাকবে কি-না, তা সময়ই বলবে—!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *