বীরভূমের বক্রেশ্বর বাণপ্রস্থ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সন্ন্যাসী দুর্গেশগিরি মহারাজের মহাপ্রয়াণে স্মৃতিচারণ ও ভান্ডারা অনুষ্ঠান

শম্ভুনাথ সেনঃ

বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের “বক্রেশ্বর বাণপ্রস্থ” আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা, সন্ন্যাসী দুর্গেশগিরি মহারাজের মহাপ্রয়াণের ষোড়শদিনে অনুষ্ঠিত হলো স্মৃতিচারণ ও ভান্ডারা অনুষ্ঠান। দূর দূরান্তের ভক্ত-শিষ্য এবং স্থানীয় আশ্রম অনুরাগী মানুষজন এদিন এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। স্মৃতিচারণায় অংশ নেন শ্রীউত্তম গিরি ফাউন্ডেশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট তৃপ্তি বাজপেয়ী, সদস্য সবিতা ঠাকুর, সেক্রেটারি অগ্নিতা ব্যানার্জি সহ স্থানীয় অম্বুজাক্ষ দে, শ্যামসুন্দর দত্ত, উজ্জ্বল মিত্রঠাকুর, অলোক দাঁ, বিমলাংশু শেখর চক্রবর্তী প্রমুখ মহারাজের অনুরাগী ভক্ত-শিষ্যরা। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এই দুর্গেশ গিরি মহারাজ বেনারস তীর্থক্ষেত্র থেকে প্রথম বক্রেশ্বরে আসেন। তাঁর গুরুদেবের নামে প্রতিষ্ঠা করেন “শ্রী উত্তম গিরি ফাউন্ডেশন”। গড়ে তোলেন “বানপ্রস্থ” আশ্রম। এখানে অন্নসেবা প্রকল্প, দুঃস্থদের বস্ত্রদান, স্থানীয় শিশুদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা, সাহিত্যচর্চা, মাসে মাসে মেডিকেল ক্যাম্প সহ নানান সামাজিক কাজকর্মে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন ৯০ ছুঁই ছুঁই এই বিজ্ঞান সাধক সন্ন্যাসী দুর্গেশ গিরি মহারাজ। গত ২৫ নভেম্বর রাত্রি ৮.৪০ মিনিটে এই বানপ্রস্থ আশ্রমেই তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটে, পরে বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এদিন স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে ভক্ত-শিষ্যরা তুলে ধরেন তাঁর জীবন আদর্শের নানা কথা। তাঁর ফেলে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশ্রম অনুরাগী বিশ্বনাথ কুণ্ডু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *