বিজয়কুমার দাসঃ
৯ ডিসেম্বর সিউড়ি লীজ ক্লাব শতবার্ষিকী সভাগৃহ ছিল শহরের বিশিষ্ট মানুষের উপস্থিতিতে সমৃদ্ধ। আচার্য রমারঞ্জন স্মরণ সংস্থার আয়োজনে ছিল আচার্য রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায় স্মরণে নবম স্মারক বক্তৃতা। সিউড়ির ভূমিপুত্র রমারঞ্জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসাবে দেশে – বিদেশে বরণীয় ব্যক্তিত্ব। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে অধ্যাপনা ও উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন শিক্ষক হিসাবে তিনি ছাত্রদরদী। অন্যদিকে অসাধারণ বাগ্মী এবং কৃতি প্রশাসকও। এ হেন ব্যক্তিত্বের স্মরণে স্মারক বক্তৃতা দিতে সিউড়ি এসেছিলেন প্রবীণ সর্বজনশ্রদ্ধেয় নাট্যকার, নির্দেশক মনোজ মিত্র। প্রবীণ শিক্ষক কালীপদ দাসের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্মরণ সংস্থার সভাপতি অধ্যক্ষ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় স্বাগত ভাষণে জানালেন, এর আগের বিভিন্ন স্মারক বক্তৃতায় বক্তা ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নাট্যজন রাজ্যমন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রমুখ। রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক মনোজ মিত্র এ বছর তাঁর স্মরণে স্মারক বক্তৃতা দেবেন বলে তিনি জানালেন। অনুষ্ঠানের রীতি অনুসারে সংস্থার পক্ষে সভাপতি কালীপদ দাস ও অতিথি বক্তা মনোজ মিত্রকে বরণের পর নাট্যকার শ্রী মিত্রের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক সম্মাননা। শ্রীমিত্র তাঁর স্মারক বক্তৃতা শুরু করেন তরুণ বয়সে ১৯৬০ সালে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিতে আসার একদিনের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে। এরপর শিক্ষাবিদ রমারঞ্জন প্রসঙ্গে বিষয়কে ছুঁয়ে তিনি কয়েকজন কৃতী শিক্ষাবিদের কথাও তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। অধ্যাপক শুভদীপ মুখোপাধ্যায় সমাপ্তি ভাষণে নানা স্মৃতির ফুল দিয়ে কথামালা গেঁথে প্রণাম নিবেদন করেন আচার্যের প্রতি। শুরুতে সঙ্গীতানুষ্ঠানের পাশাপাশি এদিন মনোজ মিত্র রচিত একটি নাটিকাও পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুশান্ত রাহা। মনোজ মিত্রকে প্রদত্ত স্মারক সম্মানপত্র পাঠ করেন নিতাইপ্রসাদ ঘোষ।