সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা আন্তর্জাতিক মানের। এই মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ বিদেশের লোক সমাগম ঘটে থাকে। করোনার জেরে বছর কয়েক মেলার বিঘ্ন ঘটে। সেই সাথে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে ও মেলা নিয়ে ঘটে সংঘাত। রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত পৌষমেলা চালু রাখতে গতবছর জেলা পরিষদ, বোলপুর পৌরসভা, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ সহ অন্যান্য সংগঠন যৌথ ভাবে উদ্যোগ নেয় এবং বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এবছর ও পৌষমেলা নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে চলল অনেক টানা পড়েন। খোদ উপাচার্য মেলা সম্পর্কিত মিটিং ডেকে ও এলেন না। অথচ আমন্ত্রিত হিসেবে জেলা শাসক, মহকুমা প্রশাসক, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়েছিলেন। এমনকি জেলা শাসকের ফোন পর্যন্ত তোলেন নি সেদিন। ক্ষোভে অপমানিত হয়ে সভা ছেড়ে সকলেই বেরিয়ে পড়েন উপাচার্য না আসার ফলে। উল্লেখ্য জেলা শাসক সেদিনই ঘোষণা করেন শান্তিনিকেতনের মাঠ না পেলেও বিকল্প জায়গায় পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক বিভিন্ন স্তরের কমিটি লোকজন সহ মেলার প্রস্তুতি করণ শুরু হয়ে যায়। সোমবার জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিধায়ক সহ জেলা স্তরের বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পৌষমেলার পরিকাঠামো তথা তত্ত্বাবধানে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার জানান মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন পৌষমেলা করতে হবে। তার ভাবনায় আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গতবছর জেলা পরিষদের যে ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবছর ও সেখানেই হচ্ছে। পৌষমেলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের আমল থেকে শুরু। এই মেলার যে ট্রাস্ট উনাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পৌষমেলা করার দায়িত্ব তুলে নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদ, বোলপুর পৌরসভা, জেলা প্রশাসন, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ সহ অন্যান্য সংগঠনের মিলিত প্রয়াশে এই উদ্যোগ। মেলার অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে মূলত আজকে একত্রিত হওয়া। মেলার মধ্যে ১৫০০ স্টল থাকছে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ সহ অন্যান্য কারুকার্য নিয়ে মেলার মধ্যে মাটিতে বসে দোকান পাততে পারে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়। এবার প্লাস্টিক বর্জনীয় মেলা থাকছে। গতবারের তুলনায় এবার মেলার প্রচার ও প্রসার বাড়বে। জল, বিদ্যুৎ,অগ্নিনির্বাপক সহ সাবধানতা অবলম্বন বিষয়ক সমস্ত দপ্তর গুলি থাকছে মেলার মধ্যে যেন কোনো অসুবিধা না হয়। সাদা পোষাকের পুলিশ সহ বিশাল পুলিশ মোতায়েন থাকছে। এছাড়াও মেলার গাইড ম্যাপ থাকছে। তাছাড়া মেলায় নজরদারি করার জন্য ১৪৫ টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও ৪ টি ড্রোন ক্যামেরা থাকবে বলে জানা যায়।