বিপিন পালঃ
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে, খয়রাশোল ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা করনের ব্যবস্থাপনায় ৩১ ডিসেম্বর খয়রাশোল পঞ্চায়েতের পানশিউড়ী, খয়রাশোল সারসা সহ ছয়টি মৌজা ও রুপুষপুর পঞ্চায়েতের কোদালিকান্দাল, রুপুষপুর, ছোড়া, নিচিন্তা সহ ১২ টি মৌজার পরম পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনায় দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীতে মোট ১৮টি মৌজার কৃষকদের নিয়ে লোকপুর থানার বড়ঘাটা গ্রামের শালনদী সংলগ্ন কালী মন্দির চত্বরে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করার বিষয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত কৃষি দপ্তেরর আধিকারিকেরা জৈব পদ্ধতিতে চাষ আবাদ নিয়ে বিষদে চাষীদের অবগত করান।জৈব সারে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়,জল ধারন বাড়ে,উৎপাদন বাড়ে,ফসলে পোকার উপদ্রব কমে,তাছাড়াও ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগে বন্ধু পোকামাকড় মারা যায়,ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়।অন্যদিকে অনুষ্ঠানে জাগৃতি লোক নাট্যগোষ্ঠীর তরফে পথনাটিকার মাধ্যমে উপস্থিত চাষীদের জৈব সারের উপকারিতা সম্বন্ধে অবগত করা হয়। আজকের শিবিরে চাষীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও সহ কৃষি অধিকর্তার করন খয়রাশোলের এ হেন উদ্যোগকে চাষীরা সাধুবাদ জানান।জৈব পদ্ধতিতে চাষ আবাদ বিষয়ক আলোচনা সভায় জৈব পদ্ধতিতে চাষ করার উপকারীতা সম্বন্ধে অবগত হয়ে চাষীরা স্বভাবতই খুশি। উপস্থিত ছিলেন ডঃ হীরক চ্যাটার্জী,অধ্যাপক পল্লী শিক্ষা ভবন বিশ্বভারতী, শিবনাথ ঘোষ উপ কৃষি অধিকর্তা বীরভুম জেলা,রঙ্গন ব্যানার্জী সহ কৃষি অধিকর্তা তথ্য,ডঃ নিশীথ কুমার মন্ডল সহ কৃষি অধিকর্তা বিষয় বস্তু,সুরজিৎ গড়াঁই, সহ কৃষি অধিকর্তা খয়রাশোল ব্লক,ছাড়াও দেবেশ মুখার্জী,জিয়াউল হক,মুকেশ রায় সহ কৃষি দপ্তরের অন্যান্য কর্মীরা ও ১৮ টি মৌজার চাষী বন্ধুরা।