দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সাংসদ শতাব্দী রায়, বীরভূমের বিষ্ণুপুরে

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে শুক্রবার বীরভূমের বিষ্ণুপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়। গত ২ জানুয়ারি কলকাতার নজরুল মঞ্চে “দিদির সুরক্ষা কবচ”- নামক কর্মসূচির শুভ সূচনা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর উপস্থিতিতে। প্রচারকার্যটি ৬০ দিন ধরে চলবে এবং পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৩৩৪৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১২৫ টি নগরাঞ্চলে পৌঁছবে। কর্মসূচির মধ্যে সাংসদ, বিধায়ক, জেলার নেতা, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারা অঞ্চলে একদিন মডিউলের অংশ হিসেবে সেই এলাকায় কাটাবেন বলে দলীয় নির্দেশ রয়েছে। সেই এলাকায় গিয়ে দিদির সুরক্ষা কবজের অধীনে প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জনগণকে জ্ঞাত করা। উক্ত কর্মসূচি অনুযায়ী বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায় রামপুরহাট দু নম্বর ব্লকের মেলেরডাঙা গ্রামে যান। সেখানে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।বিক্ষোভকারীরা নিজেদের তৃনমূল কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তা মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এরপর বিষ্ণুপুরে গিয়েও স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ। আবাস তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের তারকা এই সাংসদকে সামনে পেয়েই আবাস দুর্নীতি থেকে শুরু করে বেহাল রাস্তার সংস্কার না হওয়া নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। মেলেরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আবু তাহের আলী রেজভী, খতেজা বিবি সহ সকলের অভিযোগ রাস্তা নিয়ে। ১৯৮৪ সালে এই রাস্তার কাজ হয়েছে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে আর কোনো কাজ হয়নি। মাটির রাস্তা এবং কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। গ্রাম থেকে রামপুরহাট হাসপাতালে রোগী নিয়ে ঘুরপথে যেতে হয়। এখান থেকে রামপুরহাট হাসপাতালের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার কিন্তু ঘুরপথে যেতে হলে ১৫ কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়। আগের লোকসভা নির্বাচনের সময় ও এখানে শতাব্দী রায় কে আটকে রাস্তার দূরবস্থার কথা জানানো হয় সেবারও শুধু প্রতিশ্রুতি দেন। এবার না হলে ভোট বয়কট করা হবে বলে গ্রামবাসীদের হুঁশিয়ারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *