শুরু হলো খয়রাশোলের কৃষ্ণপুর বড়জোড়ে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা ও গৌরাঙ্গ মন্দির উৎসর্গ সহ নানান শাস্ত্রীয় কর্মসূচি

বিপিন পালঃ

৩ ফেব্রুয়ারী বীরভূম জেলার কৃষ্ণপুর বড়জোড় গ্রামবাসীদের আয়োজনে ও পরিচালনায় খয়রাশোলের কৃষ্ণপুর বড়জোড় গ্রামে শিবমন্দির ও গৌরাঙ্গ মন্দির উৎসর্গ উপলক্ষে শুরু হলো নানান শাস্ত্রীয় কর্মসূচি। এদিন মন্দিরের ফিতে কেটে এবং প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়। দ্বারোদঘাটন করেন গীতা ভবনের প্রতিষ্ঠাতা তথা অধ্যক্ষ স্বামী সত্যানন্দজী মহারাজ। দ্বারোদঘাটনের পর প্রায় কয়েকশত মহিলা শঙ্খ, ঘণ্টা, কাঁসর, খোল করতাল, ঢাক বাদ্য সহকারে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে অজয় নদ থেকে কলস ভর্তি বারি আনেন এবং সেই জল দিয়ে ঘটস্থাপন করা হয়। পুরুষেরাও মহিলাদের সাথে খোল, করতাল, ধ্বজা নিয়ে উচ্চৈস্বরে তারকব্রহ্ম নাম গাইতে গাইতে শোভাযাত্রায় পা মেলান। পরবর্তীতে শাস্ত্রীয় আচার মেনে যাগ যজ্ঞের মধ্য দিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠার মুল অনুষ্ঠান শুরু হয়। মন্দির প্রতিষ্ঠার পূর্বে ভোর থেকে শুরু হয়েছিল তারকব্রহ্ম নাম সংকীর্তন। সন্ধাবেলা ভাগবত পাঠ করেন বক্রেশ্বর বাসুদেব মিশনের অধ্যক্ষ অচিন্ত্য চৈতন্য ব্রহ্মচারী। পরের দুদিন রয়েছে লীলাকীর্তন গান, ভাগবত পাঠ, চক্ষু পরীক্ষা শিবির, রক্তদান শিবির দুঃস্থদের বস্ত্রদান সহ নানান অনুষ্ঠান। আগামী রবিবার অন্যান্য অনুষ্ঠানের সাথে ছয় হাজারেরও বেশী ভক্তদের মধ্যে পেটপুরে প্রসাদ সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিনে উপস্থিত ছিলেন গীতা ভবনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী সত্যানন্দজী মহারাজ, সমাজসেবী কাঞ্চন পঅিকারী, শ্চিমবর্ধমান জেলার পান্ডবেশ্বরের বিশিষ্ট সমাজসেবী মনোজ গাঙ্গুলি, সমাজসেবী সমাজসেবী শ্যামল কুমার গায়েন, খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অসীমা ধীবর, ছাড়াও বহিরাগত ভক্তরা সহ বহু গুনীজন ও কৃষ্ণপুর বড়জোড় গ্রামের মানুষেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *