চন্দন চট্টোপাধ্যায়ঃ
শুধুমাত্র আবৃত্তির জন্য টানা দুদিন–এমন নজির সিউড়িতে শেষ কবে হয়েছে মনে করা শক্ত। কিন্তু স্মৃতির সরণি বেয়ে আবার সিউড়িবাসী সাক্ষী হয়ে থাকলো দুদিনের টানা আবৃত্তি সন্ধ্যা উপভোগের। বাচিকশিল্পী বামদেব মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘উচ্চারণ’ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের প্রথম বার্ষিক অনুষ্ঠানে, প্রশিক্ষিত কুশিলবদের বৈচিত্রময় আবৃত্তি পরিবেশনা চমৎকার ও সুশৃঙ্খল আবহে আকণ্ঠ উপভোগ করলেন বীরভূম জেলার সিউড়ির কবিতা প্রেমীরা, গত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি, ‘বসুন্ধরা’ মঞ্চে। একক ও যৌথ পরিবেশনায় বিশিষ্ট ছড়াকার আশিস কুমার মুখোপাধ্যায়ের ছড়া অবলম্বনে কচিকাঁচা শিল্পীদের আবৃত্তি ছিল যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক। কবি তন্ময় চক্রবর্তীর কণ্ঠে রবীন্দ্র কবিতা ‘আগমন’, অনিন্দ্যসুন্দর রায় ও পৌলমী ঘোষের যুগ্ম কণ্ঠে একগুচ্ছ কবিতা সহ জেলার কবি মলয় ঘোষের ‘বীরভূমি’ কবিতা শ্রোতা দর্শকদের মনে দাগ কাটে। খ্যাতনামা বাচিকশিল্পী শ্রবণা শীলের কণ্ঠে কবি অংশুমান করের ‘দোল’, সুকান্তের ‘বোধন’, জয় গোস্বামীর ‘হাঁস’ দর্শকদের প্রভূত আনন্দ দেয়। আরেক খ্যাতনামা বাচিকশিল্পী আকাশ দত্তের কণ্ঠে জীবনানন্দের কবিতা সহ ‘মেঘনাদ বধ’ ও ‘দেবতার গ্রাস’, এবং ‘কর্ণকুন্তি সংবাদ’-এ বামদেব-শ্রবণার যুগলবন্দী ভিড়ে ঠাসা সভাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়। আয়োজক সংস্থার কর্ণধার বামদেব মুখোপাধ্যায় জানালেন, ‘প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আগামীদিনে কবিতা ও আবৃত্তি বিষয়ে আরও আকর্ষণীয় প্রোগ্রাম করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’