
সেখ রিয়াজুদ্দিন
বীরভূমের রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের তৃনমূল পরিচালিত বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু সেখ আততায়ীর হাতে খুন হন গত ২১ শে মার্চ। সেই ঘটনার জেরে বগটুই গ্রামে খুনের পাল্টা খুন হিসেবে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে শিশু মহিলা সহ নয়জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। ঘটনার রেশ জনমানসে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। ঘটনার সামাল দিতে তৃনমূল জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পর্যন্ত মাঠে নামেন তবুও রেশ না মিটায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামে এসে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন। এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশ কর্তৃক গঠিত সীট এর কাছ থেকে সিবিআই এর হাতে যায়। অগ্নিসংযোগে মৃতদের তদন্তের দায়িত্বভার সিবিআই নিলে, ভাদু সেখ খুনের ঘটনার তদন্তভারও সিবিআই-এর হাতে দেওয়া নিয়ে দেখা দেয় প্রশ্ন। শুক্রবার কোলকাতা উচ্চ আদালত ভাদু সেখ খুনের ঘটনায় সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্বভার অর্পণ করেন। গতকাল উচ্চ আদালতের রায়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ শুনে নিহত ভাদু সেখ-এর স্ত্রী তেবিলা বিবি জানান রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদির উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে, সিবিআইও তদন্ত করুক, দোষী ব্যাক্তিরা সাজা পাক তবে যারা নির্দোষ তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক। শনিবার থেকে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ভাদু সেখ খুনের তদন্ত শুরু করল সিবিআই। আজ রামপুরহাট থানায় গিয়ে ভাদু সেখ খুনের সমস্ত নথিপত্র নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই এর আধিকারিকেরা। পাশাপাশি রামপুরহাট মহকুমা আদালতে ভাদু সেখ খুনে নতুন করে এফআইআর জমা দিল সিবিআই। অন্যদিকে ভাদু সেখ খুনে পুলিশি হেফাজতে থাকা পাঁচ জন অভিযুক্তের আজ ১৪ দিন পুলিশি হেফাজত সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই কারণে ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হয়, সেখান থেকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।





