বীরভূমের দুবরাজপুরে ক্ষ্যাপা হনুমানের দৌড়াত্মে আক্রান্ত গ্রামবাসীরা, ক’দিন ধরেই আতঙ্কিত এলাকার মানুষ, শেষ পর্যন্ত খাঁচা বন্দি করল বন বিভাগের কর্মীরা

শম্ভুনাথ সেনঃ

অবশেষে বনদপ্তরের কর্মী ও প্রশাসন মিলে ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে ক্ষ্যাপা হনুমানটিকে আজ খাঁচাবন্দী করে। গ্রামবাসীরা ফিরে পেয়েছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। তবে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের হালসোত, দৌলতপুর, পণ্ডিতপুর গ্রামগুলিতে বেশ ক’দিন ধরে এই ক্ষ্যাপা হনুমানের দৌড়াত্মে গ্রামবাসীরা অতিষ্ঠ, আতঙ্কিত। এই এলাকায় অন্তত ১২ জন গ্রামবাসীকে আক্রান্ত করে। রক্তাক্ত, জখম বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে দৌলতপুর গ্রামের কাজল উপাধ্যায়কে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয়। গত ৭ মার্চ থেকে বনদপ্তরের কর্মীরা ক্ষ্যাপা হনুমানটিকে ধরার জন্য বন্দুক, জাল, খাঁচাওয়ালা গাড়ি নিয়ে এসে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে আজ ১২ মার্চ বেলা দশটা নাগাদ ঘুম পাড়ানি গুলি চালিয়ে একটি হনুমানকে অচৈতন্য করে। পরে খাঁচাবন্দি করে হনুমানটিকে নিয়ে যায় বন বিভাগের কর্মীরা। এদিকে দুবরাজপুর রেঞ্জার কেশব চক্রবর্তী জানিয়েছেন কলকাতা থেকে স্পেশাল শ্যুটার নিয়ে এসে আজ ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা কোনো ক্ষতিপূরণ পাবে কি-না এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “সরকারি নিয়ম মেনে আক্রান্ত পরিবারগুলির হাতে ফর্ম দেওয়া হয়েছে। পূরণ করা ফরম আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাবো, পরে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে। এদিকে হনুমান ধরা পরার পর আপাতত স্বস্তি হলেও গ্রামের মানুষের আতঙ্ক কাটেনি। হালসোত গ্রামের বীরেন সরকার জানিয়েছেন আরও ক্ষ্যাপা হনুমান ওই দলে আছে। তাদের ধরার জন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। আজ ধরা পড়া হনুমানটিকে দেখতে স্থানীয় মানুষজনের ভিড় জমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *