বীরভূমের মুরারই সন্নিহিত বাঁশলৈ নদীর চড়ে মিলছে ‘সোনা’, বহু মানুষের ভিড়

শম্ভুনাথ সেনঃ

বীরভূমের মুরারইতে বাঁশলৈ নদীর চড় খুঁড়ে অনেকেই “সোনা” (GOLD) পাচ্ছেন! এ শুধুমাত্র শোনা কথা নয়। ছবিও উঠে এসেছে আমাদের ক্যামেরায়। স্থানীয় বিডিও প্রণব চট্টরাজ জানিয়েছেন, “অনেকে অফিসেও এসে এই সোনার টিকলিগুলি দেখিয়েছেন।” আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, ঝাড়খন্ড লাগোয়া বাঁশলৈ নদী সংলগ্ন অবস্থিত বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের পারকান্দি গ্রাম। ক’দিন ধরেই এই গ্রাম ও পাশাপাশি অনেক গ্রামের মানুষ তাদের কাজকর্ম ছেড়ে নদীর চড়ে পাচ্ছেন ছোট ছোট সোনার টিকলি, কয়েন। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সোনা পাওয়ার ভিডিও পোস্ট করেছেন। আবার অনেকে স্থানীয় দোকানে পরীক্ষা করিয়ে জেনেছেন সেগুলি সত্যি সত্যি আসল সোনা। পারকান্দি গ্রামের তারক মাল, নোটন মাল, রাজীব মাল, সুমিতা লেট এমন অনেকেই সোনা পেয়েছেন বলে তাদের দাবি। এখনো নদীগর্ভে বহু মানুষের ভিড়। সোনা সংগ্রহে বালি খুড়ছেন নদীর চড়ে। সেই ছবি ধরা পড়েছে নয়াপ্রজন্মের পাতায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত রবিবার ঝাড়খণ্ডের কার্তিকপাড়ার বাসিন্দা সুজন দাস বাঁশলৈ নদীতে বালি সরিয়ে পানীয় জল সংগ্রহ করার সময় তিনি বেশ কয়েকটি সোনার টিকলি পান। সেগুলিতে ছিল নানা রকম চিহ্ন। এই খবর চাউর হতেই বাঁশলৈ গর্ভে বীরভূমের পারকান্দি, পিওরপাড়া, কামদেবনালা সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা সোনা সংগ্রহে বালি খুঁড়ছেন এবং অনেকে সোনা পাচ্ছেন।
স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য জানান, এই নদী সংলগ্ন মহেশপুরে ভগ্নপ্রায় রাজবাড়ী রয়েছে। বেশিরভাগ অংশই তলিয়ে গেছে নদীগর্ভে। সে কারণেও সোনা পাওয়া যাচ্ছে বলে তার অভিমত। আবার অনেকের মতে লাগোয়া ঝাড়খন্ডে সুবর্ণরেখা নদী রয়েছে। এই নদীর উৎপত্তি রাঁচির পিসকা গ্রামে। একসময় এখানে সোনার খনি ছিল, সেই জন্যই এই নদীর নাম সুবর্ণরেখা। সে কারণেও নদীর চড়ে সোনা পাওয়া যাচ্ছে বলে তাদের অনুমান। তবে এগুলি শোনা কথা নয়! সত্যি সত্যি অনেকেই সোনা পেয়েছেন। একথা স্বীকার করে ব্লকের যুগ্ম বিডিও জাগ্রত চৌধুরী জানিয়েছেন এ তথ্য আমাদের কাছে এসেছে, পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে আসল সত্য জানা যাবে সরকারি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর। আর সেইজন্য সময়ের অপেক্ষা!

ছবি ও ভিডিও: দিপু মিঞা, মুরারই; বীরভূম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *