
দীপককুমার দাসঃ

মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভের মুখ দেখতে চলেছেন স্বনির্ভর দলের মহিলারা। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় তিনবিঘা পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তোলা হয়। জমির মাঝখানে পুকুর খনন করে গাছে জল দেবার জন্য জলের ব্যবস্থা করা হয়। জানুয়ারি মাসের ২২তারিখ জেলা সমাহর্তা বিধান রায় মহঃবাজার ব্লকের রাজ্যধরপুর মৌজায় মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের সূচনা করেন। মহঃ বাজার ব্লক প্রশাসন, কৃষিদপ্তরের সহায়তায় আতমা প্রকল্পের অধীনে ব্লক সংলগ্ন এলাকায় রাজ্যধরপুর মৌজার অধীন তিন বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের ২৫জন মহিলাকে। মাত্র দুমাসের মধ্যে হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে এলাকা।রুক্ষ মাটি সার পেয়ে হয়েছে উর্বর। বিশাল এলাকা হয়ে উঠেছে সূর্যমুখীর রঙে হলুদে হলুদ। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি, প্রজাপতির দল। আর হাজার হাজার হলুদ সূর্যমুখীর দিকে তাকিয়ে লাভের আশায় রয়েছেন ঐ মহিলারা। মা তারা স্বনির্ভর দলের এক সদস্য শিখা দাস জানান, রাজ্যধরপুর মৌজার এই তিন বিঘা জমিতে ব্লক প্রশাসন ও কৃষি সহায়তা দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে সূর্যমুখী চাষ শুরু করি। এখানকার পতিত কাঁকুড়ে জমিকে গোবর সার, কেঁচো সার দিয়ে চাষের উপযোগী করে তোলা হয়। ব্লক প্রশাসন, কৃষিদপ্তর বীজ, সার দিয়ে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের ২৫জন মহিলা যুক্ত আছি এই মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই সব গাছ ফুলে ভরে উঠেছে। বীজও হতে শুরু করেছে। আমরা তাই লাভের আশায় রয়েছি। উল্লেখ্য এই সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে সানফ্লাওয়ার তেল হয়। এই ভোজ্য তেলের চাহিদা যথেষ্ট ও শরীরের পক্ষেও ভালো। তাই এবার এই ফুলগুলো থেকে প্রচুর বীজ উৎপাদন হবে এবং লাভও হবে এই আশা এই প্রকল্পে যুক্ত থাকা মহিলাদের।