দীপককুমার দাসঃ
প্রস্তাবিত ডেউচা পাঁচামী কয়লাখনির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ। দু-পর্যায়ে বোরিংও সম্পন্ন হয়েছে। ৩৪০০একর জায়গায় ৪৮৩৮টি পরিবারের মধ্যে ৪৩২৮টি পরিবার জায়গা দিতে রাজি হয়েছে। বোরিং করে নমুনা পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট মে মাসে এসে যাবে। আর তারপরেই কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হয় যাবে। গত ১৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে নবান্ন সভাঘরে শিল্প প্রসার পর্ষদের বৈঠকে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান সেকথা। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যেই ডেউচা পাঁচামী খনি প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট এলেই কয়লা উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রস্তাবিত ডেউচা পাঁচামী কয়লাখনি হতে চলেছে ৩৪০০একর জায়গা জুড়ে। কেন্দ্রপাহাড়ীতে প্রথম বোরিং শুরু হয়। পরে দেওয়ানগঞ্জ, হরিণসিঙ্গা, সালুকা, কবিলনগর, বারোমেসিয়াতে বোরিং করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ১৪ জায়গায় ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৫ জায়গায় বোরিং হয়ে গেছে। এখানে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে প্রতিদিন ৩৫মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন হবে। এদিকে কয়লাখনি নিয়ে যাতে গরমিল বা দুনীতি না হয় সেইজন্য সমস্ত নথি ও তথ্য ডিজিটালাইজেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১৪ মার্চ সল্টলেকে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম ভবনে এই নথি ও তথ্য ডিজিটালাইজেশন করার জন্য বীক্ষণ ও অনুবীক্ষণ নামে দুটি অ্যাপের সূচনা করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের অতিরিক্ত সচিব এস সুরেশকুমার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি বি সেলিম। বীক্ষণ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ডেউচা পাঁচামী দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিঙ্গা কয়লাখনি এলাকার পুর্ণবাসন ও পুনঃস্থাপন বিষয়ে তথ্য আপলোড থাকবে। অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের সাহায্যে এই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপে কোন জমির মালিক কত পরিমাণ জমি দিতে ইচ্ছুক, জমিদাতা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কিনা, জমিদাতাদের পরিবারের একজন চাকরি পেয়েছেন কিনা এই সমস্ত তথ্য আপলোড থাকবে। আর অণুবীক্ষণ অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের ১৭টি প্ল্যান্টের উৎপাদন সম্পর্কিত তথ্য।