সর্তক করলেন কাজলকে, বীরভূমের দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে রেখে দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে বিশেষ দ্বায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দীপককুমার দাসঃ

বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গোরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দী। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দিন দিন বাড়ছে তৃণমূলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গতকাল ২৪ মার্চ কালিঘাটে বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলার মূল দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। শুক্রবার কালিঘাটে এই বৈঠকে জেলবন্দী অনুব্রত মণ্ডলেকে জেলা সভাপতির পদে বহাল রেখে তার পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। সাতজনের কোর কমিটি আগেই তৈরি করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল পরিচালনার জন্য সেই কোর কমিটিতে আছেন দুই সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল। এছাড়া আছেন মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী ও নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। এই সাতজনের কমিটিতে আরো দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করে নয়জনের কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কোর কমিটির নতুন দুই সদস্য হলেন বোলপুরের যুব নেতা সুদীপ্ত ঘোষ ও আদিবাসী নেতা বিশ্ববিজয় মার্ডি। কোর কমিটির কাজকর্মে নজরদারির জন্য তিনজনের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঐ কমিটিতে রাখা হয়েছে দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটককে। এছাড়া ঐ কমিটিতে রাখা হয়েছে পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তীকে। এই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী কাজল শেখকে সর্তক করেছেন মমতা। তিনি কাজল শেখকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কাজল, তুই সবেতেই বেশি কথা বলছিস্। এরপর বললে আমি শোকজ করবো। বগটুই নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “ওদের জন্য কি করিনি? চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি, সরকারী প্রকল্পে যুক্ত করেছি। তারপরেও ওরা অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে”। কাজল শেখকে বগটুই গ্রামে যাবার নির্দেশ দেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দী। তাই তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নেত্রীর উপস্থিতিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন জেলা সংগঠন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে গেলে তা বলবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *