দীপককুমার দাসঃ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মদিনে সিউড়ির বীরভূম সাহিত্য পরিষদে অনুষ্ঠিত হলো কবিতা উৎসব। এদিন সন্ধ্যায় এই কবিতা উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি গৌরাঙ্গ মুখোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক অমর দে, কবি ও নাট্যকার সুব্রত নাগ। এদিন কবিদের হাত দিয়ে পীষূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের সূর্যাস্তের আলো আঁধারে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। শ্রেয়সী বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজী হাসিনা মমতাজ রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর কবিকন্ঠে কবিতাপাঠে অংশ নেন কবিরা। আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়, গৌরাঙ্গ মুখোপাধ্যায়, বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, মিমি সিদ্দিকী ও দেবগুরু বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন স্বাদের কবিতা পাঠ করেন। বিশিষ্ট ছড়াকার আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে নতুন কবিতা প্রয়াসীদের খুঁজে পাচ্ছি না। বহুদিন ধরে রক্তকরবী সংস্থা কবিদের সরাসরি পাঠকের মুখোমুখি কবিতা পাঠের ব্যবস্থা করে আসছে। ফলে কবিতা প্রেমীরা আসছেন কবিতা শুনতে। কবিতাকে ভালোবাসছেন। আগামীদিনে কবিরা কবিতাকে আশ্রয় করে বাঁচতে পারবেন এই বার্তা দিচ্ছে রক্তকরবী সংস্থা। রামপুরহাট থেকে এসেছিলেন কবি বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কবিতা নিয়ে একেকজন কবিকে জানার যে প্রয়াস তা প্রশংসনীয়। এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রজকুমার সাহা। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে আবার কবিতা উৎসবের সূচনা হলো। উপস্থিত শ্রোতা দর্শকরা আন্তরিকভাবে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করলো। আয়োজক সংস্থা রক্তকরবীর পক্ষে মুকুল সিদ্দিকী বলেন, ২০১৯সালের ২৫ বৈশাখ কবিতা উৎসবের সূচনা হয়। কিন্তু করোণার কারণে পরে এই অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়। আজ আবার বিশ্বকবির জন্মদিনে নতুন করে কবিতা উৎসবের সূচনা হলো। কবিকে চিনতে গেলে, কবির ভাবনাকে ভাবতে গেলে একটি কবিতা নিয়ে কবিকে বিচার করা যায় না। একেকজন কবির অনেক গুলি কবিতা শুনবো সেখানে সামনে থাকবেন অন্যন্য গুণীজনরা। এই ভাবনা থেকেই কবিতা উৎসবের সূচনা। প্রতি মাসে এই কবিতা উৎসব হবে। দেশ বিদেশের কবিরা স্বকন্ঠে কবিতা পাঠ করে শোনাবেন। এদিন এই কবিতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু কবিতা প্রেমী মানুষ।