শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ২৪ শে মে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯২ নাম্বার পেয়ে বীরভূমের প্রথম শান্তিনিকেতন নবনালন্দা হাইস্কুলের কলা বিভাগের ছাত্রী ঋষিতা সিংহ মহাপাত্র। রাজ্যের মেধাতালিকায় তার স্থান পঞ্চম। অন্যদিকে এই জেলা থেকে আরো দুই ছাত্র ৪৯০ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে৷ উল্লেখ্য,২০২৩ এর উচ্চ মাধ্যমিকে বীরভূম জেলা থেকে ৩ জন রাজ্যের মেধা তালিকায় দশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। ইণ্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকে মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান পাওয়া ছাত্রী ঋষিতা সিংহ মহাপাত্রের৷ শান্তিনিকেতনের নবনালন্দা হাইস্কুল থেকে ৪৯২ নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে ঋষিতা৷ অন্যদিকে ৪৯০ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে রামপুরহাটের জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের ছাত্র সুমিত মুখোপাধ্যায় এবং বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র অভিরূপ পাল।
ঋষিতা জানায়, সে একটানা বেশিক্ষণ পড়তে পারত না৷ পড়াশোনা ছাড়াও গল্পের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল বেশি৷ ইতিহাস তাকে বেশি আকৃষ্ট করত ৷ কলা বিভাগ থেকে মেধা তালিকায় জায়গা করে নেওয়ায় খুশি স্কুলের শিক্ষকেরাও৷ তবে ঋষিতা যে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করবে তা নিয়ে আশাবাদী ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌরগোপাল চট্টোপাধ্যায়। ঋতিষা জানিয়েছে “ভবিষ্যতে ইণ্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে আছে৷ তারজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সে।
অন্যদিকে মেধা তালিকায় সপ্তম হয়েছে রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের ছাত্র সুমিত মুখার্জি। তাঁর প্রাপ্ত নাম্বার ৫০০ মধ্যে ৪৯০। বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তারপাড়ার বাসিন্দা সুমিত। বাবা সুপ্রিয় মুখার্জী মেডিক্যাল রিপ্রেজে্টেটিভ। মা মানসী মুখার্জি গৃহবধূ। ২০২১ এ করোনা আবহে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। তবুও নবম শ্রেণীর প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে পর্ষদের মূল্যায়নে প্রথম দশে স্থান পেয়েছিল সুমিত। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই তাঁর স্বপ্ন ছিল রাজ্যের মেধা তালিকায় পঞ্চমে তার স্থান থাকবে। তবে সপ্তম হয়েও সে খুশী। তার প্রিয় বিষয় অংক। আগামী দিনে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনি়য়ার হতে চায় সে। ছেলের ইচ্ছেতেই সায় রয়েছে মা ও বাবার। বীরভূমের আর এক সপ্তম স্থানাধিকারী বীরভূম জেলা স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সিউড়ির অভিরূপ পাল। তার ইচ্ছে ভবিষ্যতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার৷ বিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্র প্রথম থেকেই মেধাবী বলে জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷