শম্ভুনাথ সেনঃ
সতীপীঠ বক্রেশ্বর
আজ ২৫ মে জামাইষষ্ঠী পার্বণ। বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও সকাল থেকেই ষষ্ঠীতলায় ভিড়। বাংলার জৈষ্ঠ্য মাসের এই শুক্লা ষষ্ঠীর দিনটিকে বেছে নেওয়া হয় জামাইষষ্ঠী হিসেবে। এদিন উপবাসী মা ও মেয়েরা বাঁশপাতা, হলুদে রাঙানো সুতো, ফুল, ফল, নানা উপাচার, নৈবেদ্য দিয়ে পূজার ডালি সাজিয়ে সকাল থেকেই ষষ্ঠী তলায় ভিড় জমিয়েছেন। বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ বক্রেশ্বর, সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের গাংটে, মালডিহা, দুবরাজপুর ব্লকের পণ্ডিতপুর, ইলামবাজার ব্লকের বৈষ্ণব তীর্থভূমি জয়দেব-কেন্দুলী গ্রামের ষষ্ঠীতলার সেই ছবি ধরা পড়েছে “নয়াপ্রজন্ম” পত্রিকার ওয়েবসাইটের পাতায়। আসলে বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম এই জামাইষষ্ঠীতে মেয়ে-জামাইয়ের দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি, মঙ্গল কামনায় এ এক লৌকিক আচার- অনুষ্ঠান। গ্রামীণ ধর্মীয় লোকায়ত সংস্কৃতি ও সংহতির এক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে এই জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান। শাশুড়ি মায়েরা জামাইকে ষষ্ঠীর ফোঁটা ও হলুদ মাখানো সুতো হাতে বেঁধে আশীর্বাদ করেন। আপ্যায়নের খাদ্যতালিকায় থাকে নানা ব্যঞ্জন। এককালে এই জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে গ্রামে গ্রামে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হত। এখন ভাটা পড়েছে। জামাই বাবাজীবন দের শ্বশুরালয়ে উপস্থিতির হার অনেকটা কম। তবুও ধর্মীয় টানে এই প্রাচীন লোকাচার আজও ধরে রাখে গ্রামীণ সংহতি।
জয়দেব কেন্দুলী
পণ্ডিতপুর গ্রামে ষষ্ঠী তলায় মা মেয়েদের ভিড়
গাংটে গ্রামে পৌরহিত্য করছেন প্রীতিময় চট্টোপাধ্যায়।